সোহাগ মিয়াজী।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করার দুইদিন পরেই ঘাতক স্বামী হেলাল উদ্দিন বিষপানে আত্মহত্যা
করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে। হেলাল উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র। জানা গেছে, সোমবার হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী এক সন্তানের জননী দিলোয়ারা আক্তার শিউলীর ঝুলন্ত লাশ চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শিউলীর পিতা ফয়েজ আহাম্মদ শিউলীর
স্বামী হেলাল উদ্দিনকে প্রধান ও ভাই-মা ও ভাবীসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার পর থেকে হেলাল উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে হেলাল উদ্দিন পরিবারের সদস্যদের চোখের আড়ালে নিজ বাড়িতেই বিষপানে
অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাঁকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পথিমধ্যে হেলাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়।চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার আবুল হাশেম সবুজ জানান, ‘হেলাল উদ্দিনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মুখে ও শরীরে বিষের অস্তিত্ব পাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার
জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়’।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার মনির হোসেন বলেন, ‘মৃত হেলাল উদ্দিন তাঁর স্ত্রী শিউলীকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী। সে বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নেয়ার পথে
তাঁর মৃত্যু হয়’।